সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ রক্ষায় সরকার গ্রহণ করেছে অভিনব সব উদ্যোগ। দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে বিভিন্ন উৎস থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যেখানে থাকবে পরিবেশসহনশীল ব্যবস্থা।
বিশেষ কার্ডে দ্বীপবাসী এবং পর্যটকদের পানি দেওয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ‘বেকোটেগ’ নামে পরিবেশসহনশীল পরিবহন ব্যবস্থা দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের সরকার।
বর্তমানে, সেন্টমার্টিনে ১৭০০ পরিবারের ৮ হাজার মানুষের দুটি টন মানববর্জ্য এবং কঠিন বর্জ্য সৃষ্টির চিত্র পরিচিত। পর্যটন মৌসুমের সময়, প্রতি দিন দুই হাজার পর্যটকের চার হাজার প্লাস্টিকের বোতল এবং অন্যান্য প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হয়, যা দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের উপর প্রভূত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দ্বীপে রেইন ওয়াটার, গ্রাউন্ড ওয়াটার ও সারফেস ওয়াটার পরিশোধন করে বিশেষ ল্যাবরেটরীতে পরিক্ষিত পানির মান এবং বাসিন্দাদের মধ্যে এর সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ইট, সিমেন্ট এবং লোহার রড ছাড়া পরিবেশবান্ধব অপারেশন বিল্ডিং নির্মাণ হবে, যা আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক টয়লেটও থাকবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে মানব, মেডিকেল, কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মিলিয়ে প্লাজমা রিয়েক্টর স্থাপন করা হয়েছে, যা দ্বীপে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সাহায্য করবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগে দ্বীপে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।