ঢাকা, ২২ মে ২০২৫: গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থির পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। এ সময় সরকারি প্রতিষ্ঠান, থানা ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার খাতিরে বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৬২৬ জন ব্যক্তি সেনানিবাসে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন:
- ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- ৫ জন বিচারক
- ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা
- ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য
- ১২ জন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা
- ৫১ জন পরিবারসহ অন্যান্য ব্যক্তি
বিবৃতিতে বলা হয়, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবন রক্ষাই ছিল আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। পাঁচজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
গত বছরের ১৮ আগস্ট প্রথমবারের মতো ১৯৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ তালিকায় ৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্যসহ সকলের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইএসপিআর কিছু মহলের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের সমালোচনা করে বলেছে, “কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা সকলকে এ ধরনের প্রচারণা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রকাশিত তালিকায় আশ্রয়প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) থেকে প্রাপ্ত তালিকা নিম্নরূপ:
