ঢাকাবুধবার , ৪ঠা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশ্ব মা দিবস: মাতৃত্বের মহিমায় ভাস্বর একটি দিন

Link Copied!

ঢাকা, ১১ মে, ২০২৫ : আজ বিশ্ব মা দিবস। “মা” শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে বিশ্বজনীন এক আবেগের ইতিহাস। পৃথিবীর সকল ভাষায়, সকল সংস্কৃতিতে এই ক্ষুদ্র শব্দটি ধারণ করে আছে অনন্ত মমতার মহিমা। বিশ্ব মা দিবস সেই মাতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

ঐতিহাসিক পটভূমি:
মা দিবসের ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হয় মধ্যযুগের ব্রিটেনে। “মাদারিং সানডে” নামে পরিচিত সেই প্রথায়, দূরবর্তী স্থানে কর্মরত সন্তানেরা নির্দিষ্ট দিনে মায়ের সান্নিধ্যে ফিরে আসতেন। পরবর্তীতে আধুনিক যুগে ১৯০৮ সালে আমেরিকার আনা জারভিস তার মায়ের স্মৃতিকে ধারণ করে এই দিবসটিকে নতুন রূপ দেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া এই দিবস আজ বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির মতো শতাধিক দেশে পালিত হচ্ছে। প্রতিটি সংস্কৃতিই এই দিবসকে নিজস্ব রীতিতে গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে দিনটি পালিত হয় বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে।

বাংলাদেশে উদযাপন:
বাংলাদেশে মা দিবস উপলক্ষ্যে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আয়োজিত হয় চিত্রাঙ্কন, রচনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো মা দিবসের বিশেষ অফার নিয়ে হাজির হয় ক্রেতাদের সামনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে ওঠে মায়ের প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য প্রকাশে।

মা দিবসের তাৎপর্য:
মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য কেবল একটি দিনের জন্য মাকে স্মরণ করা নয়। এটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় মায়ের সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কথা, যে ভালোবাসা কোনো প্রতিদানের আশা করে না। কবি গোলাম মোস্তফার ভাষায়: “মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।”

মা দিবস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় কৃতজ্ঞ হওয়ার। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনের প্রয়োজন নেই বটে, কিন্তু এই দিবসটি আমাদেরকে মাতৃত্বের মহিমা সম্পর্কে নতুন করে চিন্তা করতে শেখায়। আসুন আমরা শুধু একটি দিনের জন্য নয়, জীবনভর মায়ের সেই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করি, যে ঋণ কখনই শোধ হবার নয়।