ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণায় অনীহা কেন !

Link Copied!

ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০২৫ – অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল জারি নিয়ে তৈরি হওয়া আলোচনায় সরকার এবং ড. ইউনূস নিজেই স্পষ্ট অনীহা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবস্থান জানানো হয়েছে।

সরকার ও ইউনূসের যৌথ অবস্থান

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অধ্যাপক ইউনূস চান না তাকে এমন কোনো উপাধি দেওয়া হোক। একইভাবে, সরকারের পক্ষ থেকেও তাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার কোনো পরিকল্পনা নেই।” গতকাল সোমবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এমদাদুল হকের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রুল জারি করে। রুলে ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “রিটটি ব্যক্তি উদ্যোগে দায়ের করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যার যৌক্তিক ভিত্তি অস্পষ্ট। সরকার আইনানুগভাবে রুলের জবাব দেবে।” রুলের অনুলিপি জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ রুল জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ড. ইউনূসের ভূমিকা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত—এ ধরনের আনুষ্ঠানিক উপাধি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।

ড. ইউনূস বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক সংকট নিরসন, জাতীয় সংলাপ এবং প্রশাসনিক সংস্কারে তার ভূমিকা দেশি-বিদেশি মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে তার সমর্থক ও বিরোধী—উভয় পক্ষই এই রুলকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ

সরকার আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে রুলের জবাব দেবে বলে জানা গেছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালত যদি কোনো নির্দেশনা দেয়, তাহলে সেটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে, কারণ ‘জাতীয় সংস্কারক’ এমন একটি পদ যা সংবিধান বা প্রচলিত আইনে সংজ্ঞায়িত নয়।

এদিকে, ড. ইউনূসের সমর্থকরা মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারে তার অবদান ইতিমধ্যেই তাকে ‘অনানুষ্ঠানিক সংস্কারক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে বিরোধীরা এই রিটকে ‘মিডিয়া স্টান্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।

সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
আদালতের রুল এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া এখন সবাইকে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রেখেছে। তবে ড. ইউনূস ও সরকার উভয়েই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা এড়াতে চাইছেন বলে জানা গেছে।