ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলেই বাধ্যতামূলক অবসর : সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি

Link Copied!

ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২৫ : সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ গত ২৩ জুলাই ২০২৫ রাজ্যপতির স্বাক্ষরে জারি হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এই অধ্যাদেশ মূলত ধারা ৩৭ক সংশোধন করেছে, যা সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিশেষ বিধান নিয়ে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি:

  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন,
  • সরকারের আদেশ, পরিপত্র অথবা নির্দেশনার বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা অন্য কর্মচারীকে এ কাজে প্ররোচিত করেন,
  • ছুটি বা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া সমবেতভাবে কাজ থেকে বিরত থাকেন,
  • কিংবা অন্যকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কাজে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য পালনে বাধাগ্রস্ত করেন,

তাহলে তাকে সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর জন্য নিম্নোক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে:

  • নিম্নপদে বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ,
  • বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান,
  • চাকরি থেকে বরখাস্ত।

অধ্যাদেশে অভিযোগ গঠন ও শুনানি করার ধারাও রয়েছে। অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীকে যথাসময়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ পাবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।

এছাড়াও, রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলের সুযোগ নেই, তবে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা যাবে।

এই অধ্যাদেশে মূল উদ্দেশ্য সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অশান্তির জন্য দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা বলা হয়েছে

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫