ঢাকাশনিবার , ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোনের অবশ্যই নিবন্ধন করানো প্রয়োজন

Link Copied!

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ : বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আজ জানিয়েছেন যে, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোনের অবশ্যই নিবন্ধন করানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই নিবন্ধন প্রথা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা দেশে মোবাইল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত নিয়মনীতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব । ছবিঃ সংগৃহীত

তৈয়্যব আরও উল্লেখ করেন, অবৈধ মোবাইল ব্যবহারের ফলে সিম কার্ড দুর্ব্যবহার, অনলাইন প্রতারণা, অবৈধ ক্লোনিং, ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকি, চোরাচালানসহ নানা অপরাধ ঘটে। তাই বিদেশ থেকে আনা প্রতিটি মোবাইলের সঠিক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে, স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পের সুরক্ষাও এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল ব্যবহারকারীদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের ডিভাইসের বৈধতা পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এই তারিখের পর থেকে অবৈধ ও ক্লোন করা সকল মোবাইল দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে দেশব্যাপী সহজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে NEIR সিস্টেমে নিবন্ধিত হবে, তবে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে জমা দিতে হবে। এর জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়েছে যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আইএমইআই নম্বর দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

এই নিবন্ধনের জন্য ধাপগুলো হলো:
১. মেসেজ অপশনে গিয়ে “KYD” শব্দের সাথে আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
২. বৈধতার তথ্য ফিরতি এসএমএসে পাওয়া যাবে।
৩. অনলাইনে বা বিটিআরসি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত সাহায্য নেওয়া যাবে।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব স্পষ্ট করেন, যারা নিজ নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করবে তাদের কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। তবে, অসংযত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া NEIR সিস্টেম মোবাইল অপারেটরদের জন্য সমস্যাগুলো দ্রুত সনাক্ত এবং সমাধান সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অবঃ) জানান, দেশীয় মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি আরো শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক হবে, যা বাজারে স্বচ্ছতা ও মূল্য স্থিতিশীলতা আনার সহায়ক হবে।

মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, এতে কেবল অভ্যন্তরীণ চাহিদাই পূরণ হবে না, বরং রপ্তানিও বাড়বে। মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার আরও বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

বিশ্লেষণ ও নতুন তথ্য

  • বিদেশ থেকে আনত মোবাইল নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, অবৈধ আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রাহক সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
  • স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশকে নতুন দিশা মিলবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়েও সহায়ক হবে।
  • ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করার ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি কমবে।