করোনার বিস্তার রোধে সরকারি বিধিনিষেধ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
০৩ আগস্ট,২০২০ (সোমবার) করোনা বিস্তার রোধে এই প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধের সময় বাড়ানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ থেকে। প্রজ্ঞাপনে অনেক বিধি-নিষেধের মধ্যে বিশেষত্ব হল, ‘মাস্ক না পড়লে’ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপনে সরকার যেসব কিছু শর্ত আরোপ করেছে। যেগুলো হল–
১। , আগামী ৪ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটিও এই নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।
২। রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত, অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসস্থানের বাইরে বের হওয়া যাবে না। অতি প্রয়োজন বলতে, ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন/সৎকারকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অযথা বাসার বাহিরে ঘোরাফেরা করা যাবে না।
৩। বাসস্থানের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনকে অবশ্যই জীবনুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।
৫। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৬। গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।
৭। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় / বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে ।
৮। এই সময়ে সব সভা-সমাবেশ, জমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে মসজিদে জামায়াত ও অন্যান্য উপাসনালয়সমূহে প্রার্থনা পরিচালনা করা হবে।
৯। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত কোভিড ১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি জোন ভিত্তিক সংযমন (containment) ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কৌশল (guide) অনুসরন করে অধিকতর সংক্রমিত এলাকা নিয়ন্ত্রন করতে হবে । সেখানে সর্ব সাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ/প্রাপ্পতা নিশ্চিত করতে হবে । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবিষয়ে সুস্পষ্ট অনুমোদন ও নির্দেশনা প্রদান করবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায়, সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য এলাকায় জেলা প্রশাসন এসংক্রান্ত কার্যাবলীর সার্বিক সমন্বয় করবে ।
১০। কোভিড ১৯ এর বিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সাস্থসেবা বিভাগ সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যপক প্রচারণা ও জনসছেতনতামুলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে ।