করানোয় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা গতকালের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) চিকিৎসকেরা খুশি যে তিনি গতকালের চেয়ে ভালো আছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তাঁকে দুই লিটার পরিমাণ অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গতকাল সোমবার ভোর থেকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় বিকেলে তাঁকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘না, আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলিনি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ওনাকে জানিয়েছি, এটুকুই।’
করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গতকাল কিছুটা অবনতি হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবার চাইছে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত একজন চিকিৎসক সকালে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন মূলত সিঙ্গাপুর ও লন্ডনে নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন। তাঁর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে ভালো জানতেন। এ কারণে দেশের বাইরে আরেকবার নিয়ে গেলে চিকিৎসাটা ভালো হতো। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরে নেওয়াকে এই চিকিৎসক সমর্থন করেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে দল ও পরিবারের সদস্যরা তৎপর হয়েছেন। সূত্র বলছে, গতকাল সিসিইউতে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে কথা বলার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।
জেল থেকে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে বলা হয়েছে, তিনি বিদেশ যেতে বা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবেন না। তবে দেশের ভেতরে যেকোনো হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিতে পারবেন।