প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সতর্কবার্তা: “জুলাই আন্দোলন শেষ হয়নি, বিরোধী শক্তি প্রস্তুতি নিচ্ছে”
শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে রাজনৈতিক সংঘাত ও আদর্শিক লড়াইয়ের ইঙ্গিত
ঢাকা, ৩ মে ২০২৫:
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ এক সতর্কবার্তায় জানান, জুলাই আন্দোলন এখনও সমাপ্ত হয়নি। তার মতে, আন্দোলন-বিরোধী গোষ্ঠী নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। ফেসবুকে একটি ভেরিফাইড পোস্টে তিনি লিখেন, “জুলাইয়ের বিরোধীরা হারিয়ে যায়নি—তারা অপেক্ষা করছে, প্রোপাগান্ডা ও হিংসা ছড়িয়ে ফের আঘাত হানার জন্য।”
- আন্দোলনের স্থায়িত্ব:
শফিকুল আলম দাবি করেন, গত ৯ মাসে প্রমাণিত হয়েছে যে জুলাই আন্দোলন কেবল একটি অধ্যায় নয়, বরং এটি একটি চলমান আদর্শিক লড়াই। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যখনই আমরা ভাবি সংঘাত শেষ, তারা ফিরে আসে নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে।” - দুই ধারার রাজনীতির দ্বন্দ্ব:
তার মতে, বাংলাদেশে দুটি বিপরীত দর্শনের সংঘাত চলছে:- একটি পক্ষ গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও স্বচ্ছ বাংলাদেশ চায়।
- অন্যপক্ষ লুটেরা, স্বৈরাচারী ও অতীতের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায়।
- ইতিহাসের শিক্ষা:
তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, “কিছু দালাল ছিল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ছিল নিরীহ শিকার। আজ জেনেভা ক্যাম্পের প্রজন্ম লজ্জা নিয়ে বাঁচে—এটা আমাদের ভবিষ্যৎ হতেই দেওয়া যাবে না।” - বর্তমান সংকট ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:
শফিকুল আলম ২০০৯-২০২৪ সময়কালকে “ডিজিটাল দাসত্ব ও দমন-পীড়নের যুগ” আখ্যা দিয়ে বলেন, “নতুন বাংলাদেশের লড়াই আমার ব্যক্তিগত সংগ্রামও বটে। এ লড়াইয়ে হার মানা যাবে না।”
শফিকুল আলমের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, জুলাই আন্দোলনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার এই পোস্টকে অনেকেই সরকারের প্রতি আনুগত্য ও বিরোধী শক্তিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে দেখছেন।
তিনি তার লেখার শেষে জোর দিয়ে বলেন, “আমি সত্য বলতে থামব না। রাস্তা—শারীরিক বা আদর্শিক—কখনো ছেড়ে দেব না।”* এই মন্তব্য বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে গভীর ইঙ্গিত বহন করে।
