বিবরনঃ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থাইল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতির সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ভাটারা থানার হেফাজতে দেয়। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কেন গ্রেপ্তার হলেন নুসরাত ফারিয়া?
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সম্পর্কিত একটি মামলায় তার নাম যুক্ত রয়েছে। ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া এই মামলায় হত্যাচেষ্টা ও রাজনৈতিক সহিংসতা-সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ফারিয়া আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অর্থায়ন ও উসকানির ভূমিকা রাখেন।
পুলিশ ও আদালতের অবস্থান
- ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে প্রথমে আটক করে এবং পরে ভাটারা থানার কাছে হস্তান্তর করে।
- ভাটারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন হক জানান, আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
- ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে গ্রেপ্তারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নুসরাত ফারিয়ার চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা
- “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” চলচ্চিত্রে তিনি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে ব্যাপক পরিচিতি দেয়।
- ২০১৫ সালে “আশিকী” চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউড-ঢলিউডে আত্মপ্রকাশ।
- “বাদশা: দ্য ডন”, “হিরো ৪২০”, “ধ্যাততেরিকি”-সহ একাধিক সিনেমায় কাজ করেছেন।
- গান ও মডেলিংয়েও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
প্রতিক্রিয়া ও সামাজিক মাধ্যমের আলোচনা
তার গ্রেপ্তার নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে এটিকে রাজনৈতিক হয়রানি বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ আইনী প্রক্রিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া
তাকে ডিবি হেফাজতে রেখে তদন্ত চলছে। মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি হতে পারে।
নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সম্পর্কিত হত্যাচেষ্টার মামলা চলছে। বিমানবন্দর থেকে আটক হওয়ার পর তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িত এই অভিনেত্রীর ভবিষ্যৎ এখন আদালত ও তদন্তের ওপর নির্ভর করছে।