ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানুষ নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল 

Link Copied!

ঢাকা, ১৬ আগস্ট, ২০২৫ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রেস করেছেন যে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে নানা দুর্বলতার জন্য মানুষ বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাত্রা করছে। তিনি প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনিস্টিক সেন্টার মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের প্রায় ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের চিকিৎসা বাজারটি তারা কেন নিজেদের মধ্যে রাখতে পারছেন না এবং মানুষের বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।

ঢাকার শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার আওতায় নিয়ে যাওয়া হয়, যা রোগীদের জন্য কষ্টের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বোঝা সৃষ্টি করে। তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, তার বাসার একজন হেল্পিং হ্যান্ড গরিব ছেলেকে একটি হাসপাতালে ১৪ ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু পরীক্ষা না করেই সে ফিরে আসার পর সুস্থ হয়। এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার অবস্থা বন্ধ করতে হবে

তিনি ওষুধ কোম্পানির প্রভাব সম্পর্কে অভিযোগ তুলে বলেন, কেন শুধু নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করতে হবে? পৃথিবীর কোন দেশে প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সময় নির্ধারণ থাকে? তারা হাসপাতালে ডাক্তারদের মাঝখানের দালালের ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেন।

আরেকটি গুরুতর দিক তিনি তুলে ধরেন নার্স ও হাসপাতাল কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে। নার্সদের মাসিক বেতন মাত্র ১২ হাজার টাকা দিয়ে তারা ভালো সেবা দিতে পারেন না, যা রোগীর প্রতি মনোভাবেও প্রভাব ফেলছে। মালিকরা কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের ন্যায্য বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন যা অপারেটিং সিস্টেমের যথাযথ কাজকে ব্যাহত করছে।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘করোনা মহামারীর সময় দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করেছে। এখন তাদের বেতন সামান্য বাড়ানো হলে বন্ধু প্রতিষ্ঠানের লাভ কিছু কমলেও কর্মীরা ভালো সেবা দিতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদি লাভ হবে দেশের।’ তার মতে, বর্তমান অবস্থায় ভারত, থাইল্যান্ডের মতো বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব, যদি দেশের চিকিৎসা সেবায় মান উন্নয়ন এবং মানুষের প্রতি আন্তরিকতা বাড়ানো হয়।

তিনি সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অনুরোধ জানান, নিজেদের লাভের চিন্তা করার পাশাপাশি দেশের জনগণের সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে এবং চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।