টিস্যু ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে গত ১২ বছরে দেশে দুই লাখ মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন মানুষ এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে দেশের একমাত্র টিস্যু ব্যাংকের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ১৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, এই ব্যাংকের মাধ্যমে আগুনে পুড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় আহত দুই লাখ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ৩৪৭টি। এ তথ্য ২০০৯ সালে টিস্যু ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।
তিনি বলেন, মানুষের পরিত্যক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে নিউক্লিয়ার পাওয়ারের মাধ্যমে পরিশোধন করে সংরক্ষণ করা হয়। মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচের তাপমাত্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা যায়।
তিনি বলেন, ডাক্তারদের চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী টিস্যু ব্যাংক থেকে রোগীকে অঙ্গ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গাইড লাইন অনুযায়ী এর মূল্য রাখা হয়।
তিনি বলেন, টিস্যু ব্যাংকের অঙ্গের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি চাহিদা পূরণে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিং এন্ড বায়োমেটেরিয়াল রিসার্চ-এর সেবা ও গবেষণা সুবিধাদির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।