ঢাকাশনিবার , ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আসছে ফাইজারের করোনার পিল, মিলবে কম দামে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৭, ২০২১ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশসহ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ সরবরাহ করতে পারবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা। আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গোষ্ঠী মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্স ভাগাভাগির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয়।

স্বেচ্ছায় লাইসেন্সিং ভাগাভাগি চুক্তির আওতায় জাতিসংঘ সমর্থিত এমপিপি ফাইজারের পিএফ-০৭৩২১৩৩২ ওষুধটির নিজস্ব সংস্করণ তৈরিতে যোগ্য জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের ‘সাব-লাইসেন্স’ দিতে পারবে। ‘প্যাক্সলোভিড’ ব্র্যান্ড নামে পিলটি প্রস্তুতকারকদের কাছে বিক্রি করবে ফাইজার। খবর রয়টার্সের। 

৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেও বেশ কম দামে ওষুধটি পাওয়া যেতে পারে। 

করোনা যতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি’ পরিস্থিতির আওতায় থাকবে, ততদিন চুক্তির আওতায় অন্য দেশগুলোও রয়্যালটি ছাড় পাবে।

ফাইজার বলছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তার এই পিল মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়ষ্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে। এইচআইভির জেনেরিক ওষুধ রিটোনাভিরের সঙ্গে যুক্ত করে ওষুধটি কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। 

মার্ক অ্যান্ড কো. একই প্রক্রিয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জেনেরিক ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরির লাইসেন্স দিয়েছে। ওষুধটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি তৈরি করে বাজারেও এনেছে।

মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমএমপি) নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানুষের প্রতিরক্ষায় আমাদের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন আরেকটি অস্ত্র যোগ হলো। এজন্য আমার খুবই আনন্দিত। কয়েক মাসের মধ্যে ওষুধটির জেনেরিক সংস্করণ বাজারে পাওয়া যাবে।’

ফাইজার ও এমএমপি বলেছে, লাইসেন্স চুক্তির আওতায় থাকা ৯৫টি দেশে বিশ্বের প্রায় ৫৩ শতাংশ মানুষের বাস। এর মধ্যে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ও সাব-সাহারা আফ্রিকার উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরে গত পাঁচ বছরে নিম্ন-মধ্যম থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোও এর আওতায় পড়বে।

এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বৌরলা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা কমাতে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

ফাইজার জানিয়েছে, প্রতিটি দেশের আয়ের ভিত্তিতে স্তরায়িত দর নির্ধারণী পদ্ধতি ব্যবহার করে ওষুধটি বিক্রি করা হবে।