প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের তিন দিন এ সংখ্যা ছিল প্রথম দু’দিন চারজন করে এবং তৃতীয় দিনে ছয়জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত মোট ২৭ হাজার ৯২৮ জন প্রাণ হারালেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের তিন দিন এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৩৪, ২২৩ ও ১৫১। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৯২৮-এ পৌঁছাল। বিপরীতে করোনা সংক্রমিত আরও ২২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমিত মোট ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত বছরের ৩১ মার্চ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল এর চেয়ে কম- শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ হিসাবে গত ২০ মাসের মধ্যে শনাক্তের হার সবচেয়ে কম। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। চলতি বছরের জুলাইয়ে শনাক্তের হার ৩২ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে রোগী শনাক্তের হার কমতে থাকে। গত ২০ অক্টোবর থেকে দৈনিক শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও কমে ১ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৬টি নমুনা পরীক্ষাগারে ২১ হাজার ৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৭৬৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৪টি। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৬২ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৪৩ জন। এরপর পর্যায়ক্রমে রাজশাহী বিভাগে ২০, চট্টগ্রামে ১২, খুলনায় সাত, রংপুরে ছয় এবং বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন করে করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে দু’জন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্য কোনো বিভাগে করোনা সংক্রমিত কারও মৃত্যু হয়নি। মৃত দু’জনই নারী, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী। তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।