মহামারী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সম্ভাব্য সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশ থেকে আগতদের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া নতুন নির্দেশনা অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৭টি দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
০২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বতসোয়ানা, ইসোয়াতিনি, ঘানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও লেসোথো-এই সাত দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে তাকে নিজ খরচে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। উড়োজাহাজে ওঠার আগেই কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য সরকার নির্ধারিত হোটেল নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে এসে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়ে যাত্রীকে সাত দিন পর একবার এবং ১৪ দিন পর দ্বিতীয়বার করোনার পরীক্ষা করা হবে। এ দুইবারের করোনা পরীক্ষার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। তবে ১২ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে আসার পর হোটেলে থাকা অবস্থায় সপ্তম ও চতুর্দশ দিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সংক্রমণ ধরা পড়লে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে। আর নেগেটিভ রিপোর্ট এলে হোটেলে বাকি সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগবে। ১৪তম দিনে দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এলে যাত্রী কোয়ারেন্টিন সেন্টার ত্যাগ করতে পারবেন। তবে এই সাত দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে এলে সাত দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এ বিষয়ে ২৩ অক্টোবর জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, করোনার একটি বা দুটি ডোজ টিকা নেয়া আছে, এমন ব্যক্তিরা আর্মেনিয়া, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, ফিলিস্তিন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশে এলে তাদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।