অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রায়ের অনুলিপি হাইকোর্ট থেকে পাঠানো হয়।
দকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা অনুলিপি পেয়েছি। এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে (হাজী দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা অনুলিপি পেয়েছি। এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে (হাজী সেলিম) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর সাজা উচ্চ আদালতে বহাল থাকায় হাজী সেলিম সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালে হাজী সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। ২০০৯ সালে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে ওই সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালে মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক। শুনানিতে হাজী সেলিমের মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। ওই নথি পাওয়ার পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি শুরু হয় পুনঃশুনানি। এরপর গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আংশিক আপিল মঞ্জুর করে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তাঁকে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তাঁর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব, সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগেই সংসদ সদস্য পদ চলে যাবে—এমনটি বলার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’