বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, জুলাই মাসে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাসের পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস মিলেছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে খুব সহসা অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় কেন্দ্রিয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গভর্নর কোন ব্যাংকের নাম উল্লেখ না করে বলেন, শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।
চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তাদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়ান-টু-ওয়ান ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করেছে। ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি বিজনেস প্ল্যান দেবে, যার ক্রমঅগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।
রউফ তালুকদার বলেন, একটি ব্যাংক দুর্বল হলে অন্য ব্যাংকের ওপর এর প্রভাব পড়ে। তাই আমানতকারীদের কথা চিন্তা করে তাদের অর্থ যেন নিরাপদ থাকে, সেজন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কোনো ব্যাংক বন্ধ বা দুর্বল করা নয়, সব ব্যাংককে সবল করা। এ জন্য যে চারটি ইনডিকেটর (শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং) বিবেচনা করে ১০টি ব্যাংকের তালিকা করেছি। এ ব্যাংকগুলো আবার সবল হোক, ব্যবসায় ফিরে আসুক ডিভিডেন্ড দিক- আমরা চাই। তারা ভালো হলে শেয়ারহোল্ডাররা উপকৃত হবেন। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত হবে; দেশের অর্থনীতি ভালো হবে।
গভর্নর আরও উল্লেখ করেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর নাম বলতে চাই না। তবে পত্রপত্রিকায় ইতোমধ্যে নাম এসেছে। আমাদের লক্ষ্য ব্যাংকগুলোকে উন্নতির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। দুর্বল ১০টি ব্যাংকের মধ্যে প্রথমটির সঙ্গে আলোচনায় বলেছি, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, আব্দুর রউফ তালুকদার গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে তিনি বৈেিদশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল করার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
[সূত্র : বাসস]