সারাদেশে আড়ম্বপূর্ণভাবে রোববার (১ জানুয়ারি) বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে বই উৎসবের আয়োজন শুরু হবে। গতকাল শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব উদ্বোধন করা হবে গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। এখানে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে প্রাথমিকের বই উৎসব। উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এর আগে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ২০২৩ সালের প্রথম দিনেই আড়ম্বরপূর্ণভাবে বই উৎসব করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
ওইদিন মাউশি অধিদপ্তর থেকে লিখিত এক আদেশে বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য ‘পাঠপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হবে। এই দিবস যেন সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৪ কোটি ৯ লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে বেশিরভাগই ছাপা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী মিলিয়ে এই স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে মোট ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি বই।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পেতে বাকি নেই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে শনিবারের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যেই ৯০ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে।
২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।