সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা নারী ফেসবুক থেকে তার পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় মোবাইল বন্ধের পাশাপাশি নিজের অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন তিনি। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বনানী থানায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই সুলতান’স ডাইন ইস্যুতে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের।
চলতি মাসের ২ তারিখ কনক রহমান নামের এক নারী গুলশানের সুলতান’স ডাইন থেকে ৭ প্যাকেট খাবার কেনেন। খাবার নিয়ে মহাখালী যাবার পর ফোন করে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে ডাকেন তিনি। এছাড়া এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে বিড়ালের মাংস দেয়া হয়েছে।
চলতি মাসের ৫ তারিখ অভিযোগকারীরা একটি ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে। যেখানে দাবি করা হয় সুলতান’স ডাইনে বিড়ালের মাংস খাওয়ানো হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিওটি। তবে সেই ভিডিওটি এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একধাকিবার ফোন করা হয় অভিযোগকারী কনক রহমান ও আব্দুল হাকিমকে। তবে শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুইজনের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সুলতান’স ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চের ম্যানেজার কামাল আহমেদ বলেন, অভিযোগকারীরা এ বিষয়টি মীমাংসা করতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। আর প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার বিকাশ রয় বলেন, অভিযোগকারী কনক রহমান ব্যবসা বন্ধের হুমকি দেন।
এদিকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ থেকে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারী আব্দুল হালিম তাদের কাছে টাকা দাবি করেন। সেটি না দিলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সুলতান’স ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চের জন্য রাজধানীর কাপ্তান বাজার থেকে মাংস কেনা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে মাংস সরবরাহকারী দোকান মালিকের ছোট ভাই জানান, মাংস নিয়ে করা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় মাংস কেনার হিসাবে গরমিল দেখা দিলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের আগামী সোমবার (১৩ মার্চ) অধিদফতরে হাজির হতে বলা হয়ছে।
ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষকে আরও প্রশ্ন করা হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী কোনো দোকান থেকে মাংস কেনার সময় রেস্টুরেন্টের একজন প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয় না।