রমজান মাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে ডিএমপির সহায়তা চেয়েছে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এই কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে বিভিন্ন থানায় আমাদের ইফতার মাহফিল হবে। সেই ইফতার মাহফিলে আমাদের জাতীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সেটা যেন বিনা বাধায় করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা চেয়েছি। কমিশনার সাহেব বলেছেন তিনি দেখবেন।’
আমান বলেন, ‘ইফতার মাহফিল সফল করার জন্য যে প্রস্তুতি সভাগুলো হবে, সেখানে সমাগম থেকে যেন কাউকে বিনা পরোয়ানায় আটক করা না হয় সেটাও আমরা তাকে অবহিত করেছি।’
বিএনপির কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ আমাদের আলোচনা সভা রয়েছে। ২৬ মার্চ আমরা সাভারে স্মৃতিসৌধ এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যাব। ২৭ মার্চ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ হবে। এভাবে আমাদের কর্মসূচি চলতে থাকবে।’
‘তিনি (ডিএমপি কমিশনার) বলেছেন, আপনারা অবহিত করবেন, কোনো অসুবিধা হবে না। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলেছেন, এ ব্যাপারেও আমরা দেখব। ভবিষ্যতে যেন এভাবে না হয়,’ জানান বিএনপির এই নেতা।
আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আমান বলেন, ‘আমরা বলেছি, সামনে নির্বাচন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্দেশে। এই গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। এভাবে যদি গ্রেপ্তার করতে থাকেন তাহলে তো জিনিসটা অন্য দিকে যাবে। কারণ এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। উনি (ডিএমপি কমিশনার) বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যখন তফসিল ঘোষণা করবে তখন আমরা ইসির অধীনে চলে যাব।’
‘আমরা আরও বলেছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে গিয়েও আপনি কিছু করতে পারবেন না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আজকে সুপ্রিম কোর্টে যেটা হয়েছে, ঢাকা বারে যেটা হয়েছে—এভাবেই হবে,’ বলেন তিনি।
অতীতেও এমন বৈঠক হয়েছে এবং ডিএমপি কমিশনার আপনাদের আশ্বস্ত করেছেন। এবার আপনারা কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে আমান বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেছি, অন্যায়ভাবে বিনা পরোয়ানায় যেভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে, এই গ্রেপ্তার-মামলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের দক্ষিণের আহ্বায়ক বলেছেন, গ্রেপ্তার বন্ধ না হলে বলেন আমরা সব নেতাকর্মী আসি; আমাদের সবাইকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করেন!’
‘সরকার যদি গ্রেপ্তার নির্যাতনের পথ বেছে নেয়, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ না হয় সে ব্যাপারে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব,’ বলেন আমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অনেকে।