ঢাকাসোমবার , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামী লীগ-বিএনপির শোডাউন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১২, ২০২৩ ৫:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো নিয়মিত কর্মসূচি দিয়ে মাঠ গরম করতে চাইছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও।

বুধবার রাজধানীতে নিজেদের সক্ষমতার শোডাউন দেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এরমধ্যে এক লাখ লোক সমাগমের টার্গেট আওয়ামী লীগের। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে ৫০ হাজার করে মানুষ আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় মঙ্গলবার মাইকিংসহ নানামুখী প্রচার করা হয়েছে। মাইকে সবাইকে সমাবেশে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি রাজপথে দীর্ঘদিন ধরেই পাশাপাশি অবস্থানে রয়েছে। এই দুই দলের সঙ্গে তাদের সমমনা দলগুলোও রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি ও মিত্ররা। পাশাপাশি ‘শান্তি বজায়’ রাখতে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের মিত্ররাও অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিরোধীরা ততোই মুখোমুখি হচ্ছে। অতীতে এ ধরনের মুখোমুখি অবস্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ-হতাহতের ঘটনা দেখেছে দেশের মানুষ। যদিও এখনকার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। দুই দলের সমাবেশের আগে ধরপাকড় নেই, অনুমতিও মিলছে সহজেই। দুই দলের একই দিন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যেই দেশে অবস্থান করছেন বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা। এরইমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এসেছে মার্কিন প্রতিনিধি দলও। বুধবারের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে তাই তারাই বড় দর্শক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সিরিজ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। গত শনিবার বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামের সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর এক দফা কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এক দফার নির্দেশনা পেয়ে নগরীতে মাইকিং করে জানান দেন দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে করেন প্রস্তুতি সভা। ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মঙ্গলবারই ঢাকায় আসতে শুরু করেন। অভিন্ন দাবিতে বিএনপির মিত্ররাও আলাদা মঞ্চ থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে এগোচ্ছে। একদিকে নির্বাচনের শতভাগ প্রস্তুতি অন্যদিকে রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখার যথাযথ গঠনমূলক প্রস্তুতি নিয়েছে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রার্থী মনোনয়নের জরিপও প্রায় শেষ করেছেন। এখন মনোযোগ দিচ্ছেন বিদেশিদের আস্থায় আনার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শোকের মাস আগস্টকে সামনে রেখে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের নামে কেউ যদি হত্যার পরিকল্পনা করে, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির এই ধরনের (সরকার পতনে এক দফার আন্দোলন) আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণায় আমরা চিন্তিত নই। তাদের (বিএনপির) যখন যে ধরনের কর্মসূচি আসবে, তা দেখে পাল্টা কর্মসূচি দেয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে এ সরকারের পতন। সেই লক্ষ্যে এক দফা ঘোষণা করা হবে। সাধারণ জনগণ এবার সেই আন্দোলনে অংশ নেবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে জনগণ বাধ্য করবে।

বিদেশিরা মাঠে: দেশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। তারা ইতোমধ্যে বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসেছেন নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবারের সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করবে দলগুলোর সদস্যরা। আরও পর্যবেক্ষণ করবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।