ঢাকারবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘১২ডা বাজার আগেই ওষুধ শ্যাষ, টিকা পাইলাম না’

Link Copied!

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছিলেন সাকিরা বেগম। সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু টিকা না নিতে পেরে দুপুর ১২টার দিকে ফিরে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘১২ডা বাজার আগেই ওষুধ শ্যাষ হইয়া গ্যাছা। হুনছি আবার ওষুধ আইলে টিকা নিতে পারমু। সকাল হইতে লাইনে খাড়াইয়াও টিকা পাইলাম না।’

শুধু সাকিরা (৫০) নন, তাঁর মতো কেন্দ্র থেকে ফিরে গেছেন কয়েক শ মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নের নির্ধারিত ছয়টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬০০ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি বুথে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দিয়েছেন। কিন্তু ভিড় বেশি হওয়ায় সবাই টিকা পাননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টায় টিকাদান শুরু হয়। দুপুর ১২টার মধ্যেই কেন্দ্রের টিকা শেষ হয়ে যায়। টিকাপ্রত্যাশী অনেকে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন। সকাল ৯টা বাজার আগে থেকে টিকাগ্রহীতারা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে মধ্যবয়সী নারীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। কেন্দ্রগুলোতে আগে থেকে নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি নতুন করে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়ার সুযোগ ছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসা ২৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা টিকা গ্রহণ করতে পেরেছেন। তবে টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না।

রামপুর পঞ্চায়েত বাড়ির সানমুন খান বলেন, ‘টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসেছিলাম। কিন্তু টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকা নিতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে আবার চেষ্টা করব।’

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, তাঁদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৬০০ লোককে টিকা দেওয়ার। এ জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছিল। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাগ্রহীতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী টিকা দেওয়ার দিন ধার্য করা হবে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাদান অব্যাহত থাকবে।