ঢাকারবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৮, ২০২৪ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবিহ পড়ার ব্যাপারে দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোন কোন মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দেশের সব মসজিদে, খতমে তারাবিহ নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ‘ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।

তারাবীহ বা কিয়ামুল লাইল হলো রাতের একটি বিশেষ সুন্নত নামাজ যেটি মুসলিমগণ রমজান মাসব্যপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর দীর্ঘ তিলাওয়াত সহকারে পড়ে থাকেন।

তারাবীহ সালাত জোড়া জোড়া রাকাত করে যেকোনো জোড় সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবীহ সালাতের পর বিতর সালাত পড়া হয়। তারাবীহর নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকাত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকাত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকাত তারাবীহ পড়েন। আবার অনেক হানাফিরাও ৮ রাকাত তারাবীহ পড়ে থাকেন।