নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ।। রকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, `স্যার শব্দের বাংলা অর্থ মহোদয়। রুলস অব বিজনেসে এটা নেই। স্যার বা ম্যাডাম সম্বোধন করতে হবে এমন কোনো রীতি নেই।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, `জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল—যাঁরা সেবা নিতে আসেন তাঁদের দিকে তাকাও, তাঁরা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মতো। সেবা নিতে আসেন জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। বিভাগীয় কমিশনার থেকে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সেই নির্দেশনা দিই। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। হাসিমুখের অ্যাটিচিউটটা খুব ইমপর্টেন্ট। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, এটা কখনো করা যাবে না। আইনের মধ্যে থেকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার অ্যাটিচিউড থাকতে হবে। কর্মকর্তারা যাতে এটি মেনে চলেন।’
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে চলতি ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশাসন ক্যাডারের ৫৫ জন কর্মকর্তাকে লঘু ও গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ৪৯টি মামলা চলমান আছে বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নে ফরহাদ বলেন, `কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে সেটা দেখা দরকার। বরিশালে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। করোনার মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বেশি জনমুখী হয়েছি। দু-এক জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি।’
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের গুণগত মান অনেক বেড়েছে দাবি করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসিল্যান্ড অফিসে অনেক ঝামেলা ছিল, এখন ডিজিটালাইজেশনের কারণে সেই ঝামেলা নেই। এখন ৯৫ শতাংশই কর্মকর্তাই সফল হচ্ছেন। এই ৫ শতাংশ কর্মকর্তা কমিউনিকেশনের জন্য সুন্দর করে বললে এমন হতো না। কাউকেই তাঁর আইনি এখতিয়ারের বাইরে আচরণ করা উচিত নয়।