বাস, ট্রেনে যাত্রীদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে যাত্রাপথেই অজ্ঞান করে সব কিছু হাতিয়ে নেয়াই তাদের কাজ। শুধু তাই নয়, অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও হাতিয়ে নিত তারা। নেত্রকোণা মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার বহেরাকান্দা গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২) ও জেলা শহরের কুড়পাড় এলাকার চালু শেখের ছেলে আজিজুল হক (৩৪)।
পুলিশ জানায়, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আব্দুল ওয়াহাব নামের এক ভুক্তভোগীর সাথে এক জেলার বাসিন্দা পরিচয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে মোতালেব ও আজিজুল। পরে
ভিকটিমকে অজ্ঞান করে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় ফেলে রেখে চলে আসে তারা। এরপর মোবাইলে তার স্ত্রী’র কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দু’দফায় নয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।
এর আগে, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিবি পুলিশের সহায়তায় এই দুজনকে আটক করা করা হয়।
থানায় জিডি করা ভুক্তভোগীর ভাই আবুল খায়ের বলেন, গত দেড় মাস আগে আমার ভাই আব্দুল ওয়াহাব দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় কাজে যান। সেখান থেকে গত ২০ অক্টোবর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
পরদিন সকাল ৬টার দিকে একটি নম্বর থেকে ফারুক পরিচয়ে ভাবিকে (ভুক্তভোগীর স্ত্রী) জানায়, আব্দুল ওয়াহাব ঢাকার কারওয়ান বাজার মাছের আড়তের কাছে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার দাবি করা হয়। ভাবি বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করেন। তবে ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও ভাইকে পাওয়া যায়নি।
পরে আরেক ব্যক্তি আরও পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে, না দিলে ভাইকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। এরপরই র্যাবের সহায়তা নিই। তবে দু’জন আটক হলেও ভাইয়ের সন্ধান এখনও মেলেনি।
এ নিয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি খন্দাকার শাকের আহমেদ বলেন, নেত্রকোণা সদরের আমতলা ইউপির গোবিন্দপুর (শিবপুর) গ্রামের মো. আবুল খায়ের (৩৫) তার ভাই মো. আব্দুল ওয়াহাব (৪২) নিখোঁজের জিডি দায়ের করেন। যদিও নিখোঁজের ঘটনাস্থল আমার থানাধীন ছিল না। তাদের গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানায় পাঠানো হয়েছে।