ঢাকারবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Link Copied!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’ 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমার দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না, আপনার দেশেও যেমন দুষ্ট লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে আপনাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। এ ধরনের প্রটেকশন আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা যদি একটু বলি, তখন উগ্রবাদীরা আরো সোচ্চার হয়ে আরো বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। আমাদের স্হিতিশীলতা বিঘ্ন হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতকে বলেছি, আমরা উভয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনো প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল। শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ট মঙ্গল হচ্ছে। বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সুন্দর অবস্হানের কারণে। সুতরাং আমরা উভয়ে এমনভাবে কাজ করব যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক পরিস্হিতি সৃষ্টি না হয়। ভারত সরকারকে বলেছি, রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা থাকবে যদি আমরা উভয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেই।’

উসকানি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন কাজ করব না, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে এমন কোনো উসকানি দেব না, যাতে অস্হিতিশীল পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশে কিছু মসজিদ পুড়েছে। আমরা কোনোভাবে সেটা প্রচার করতে দেইনি। এর কারণ হচ্ছে কিছু দুষ্টু লোক আছে, কিছু জঙ্গি আছে, যারা এটার বাহানায় আরো অপকর্ম করবে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। অনেকে আমাকে ভারতের দালাল বলে, কারণ অনেক কিছুই হয়, আমি স্ট্রং কোনো স্টেটমেন্ট দেই না। জন্মাষ্টমী উত্সবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আরো বক্তব্য দেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক এস কে সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর সেনগুপ্ত।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিল করেছে দুটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষ্যে বিক্ষুব্ধ সনাতন সমাজ ও ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলের আগে সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার দেশের বাইরে প্রচার করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নিয়ে গণমাধ্যমে যা প্রচার করা হয় বা হিন্দু জনগণ যে ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করে, সেগুলো মিথ্যা। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন হয়নি। তিনি বলেছেন, এ দেশের সংবাদমাধ্যম ও সংখ্যালঘুরা নির্যাতন নিয়ে মিথ্যাচার করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অপপ্রচার ও মিথ্যার অতীতেও প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনারও আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, সাধারণ সম্পাদক অশোক দেব, চট্টগ্রাম মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট রুবেল পাল, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট যীশু রক্ষিত ও কাঞ্চন আচার্য উপস্হিত ছিলেন।